উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের শীর্ষ পদে থেকে অনেক নেতারাই দেশ ও বিদেশে শতশত কোটি টাকার মালিক বনেছেন বটে কিন্তু কারোই সাধ্য হয়নি দলের জন্য একটি নিজস্ব ভবন তৈরি করার। সাউথজার্সী মেট্রো আওয়ামীলীগের এই প্রশংশনীয় উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিরা। সাউথজার্সি মেট্রো আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুদ্দোলা ভূঁইয়া এবং সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহীনের নেতৃত্বাধীন সাউথজার্সি মেট্রো আওয়ামীলীগ গত ১০ই জানুয়ারি সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করেন। সিরাজুদ্দোলা ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আবুল আজাদ মিঠুর সঞ্চালনায় সেই দিনটি ছিল সাউথজার্সি মেট্রো আওয়ামীলীগ তথা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত সকল আওয়ামীলীগ নেতাকর্মিদের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন।
সভাপতি সিরাজুদ্দোলা ভূঁইয়া, সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহীন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আবুল আজাদ, মিঠু, সাংগাঠনিক সম্পাদক, আমেরিকা বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সী (এবিএনএ)’র চেয়ারম্যান ও প্রধান সম্পাদক শেখ শওকত আলী শিমুল, সহ-সভাপতি পলাশ চৌধুরী ও রেজাউল ইসলাম খালিদের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের আটলান্টিক সিটিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন সম্ভব হয়েছে। আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি পলাশ চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহীন, যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক আবুল আজাদ মিঠু, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শওকত আলী শিমুল, নাসরিন মুন্নী, রেজাউল ইসলাম খালিদ ও শামীম আরা বেগম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারী বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে পা রেখেছিলেন, ইতিহাসের পাতায় এই দিনটি এখনও অবিস্বরনীয় হয়ে আছে। বঙ্গবন্ধুর এই অবিস্বরনীয় দিনটি পালনের জন্য বাঙ্গালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি এক ঐতিহাসিক দিন।দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষা ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে নয় মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রশ্নটি যখন রুঢ় বাস্তবতার মুখোমুখি, তখন দীর্ঘ নয় মাস পাকিস্তানের কারাগারে মৃত্যুযন্ত্রণা শেষে পাকিস্তানি বন্দীশালা থেকে মুক্তি পেয়ে রক্তস্নাত স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান,সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙালি,বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেষে মনোজ্ঞ সঙ্গীতানুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন কন্ঠশিল্পী শীলা আজিজ।